তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও চাল আমদানির সুযোগ দেয়া হবে।’
মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে গোপালগঞ্জে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের পূর্তকাজ উদ্বোধন শেষে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে ভুট্টা চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (বারি) আওতায় এ গবেষণা কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
চালের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রুত আমদানি করে এই ঘাটতি মেটাতে পারলে এবং বাজারে সরবরাহ বাড়াতে পারলে চালের মূল্য স্বাভাবিক হয়ে আসবে এবং নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসবে।
আরও পড়ুন: দেশে কাজু বাদাম চাষের সম্ভাবনা উজ্জ্বল: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। দেশের প্রতিটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও সচেষ্ট। সেজন্য সরকার সরকারি-বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, এই কৃষি গবেষণা কেন্দ্রটি স্থাপিত হলে গোপালগঞ্জসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভূমির প্রকৃতি ও জলবায়ু অনুযায়ী কৃষি প্রযুক্তি ও ফসলের জাতের উদ্ভাবন প্রভৃতি বিষয়ে গবেষণাকাজ ত্বরান্বিত হবে।
আরও পড়ুন: খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাটির গুরুত্ব অপরিসীম: কৃষিমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এই বছর কয়েক দফা লাগাতার বন্যা ও পাঁচ মাসব্যাপী অতি বৃষ্টিতে প্রায় এক লাখ ৫ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান নষ্ট হয়েছে। এতে করে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন ধান কম উৎপাদন হয়েছে।
ঘাটতি মেটাতে সরকার ৫-৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কারণ এই ঘাটতি না মেটাতে পারলে মিলার, আড়াতদার ও চাল ব্যবসায়ী যারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করে তারা চালের দাম বাড়ানোর সুযোগ পাবে। ইতোমধ্যে ভরা মৌসুমের সময়ও নানান কারসাজি করে মিলাররা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের সমূলে উৎপাটন করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সর্বাত্মক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এই বছর ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ বাড়ানো হবে এবং ২ লাখ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ধান চাষের কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে উৎপাদন বাড়াতে প্রায় ৭৬ কোটি টাকার হাইব্রিড ধানবীজ বিনামূল্যে কৃষকদের দেয়া হয়েছে।
পরে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতেই ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা: কৃষিমন্ত্রী
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৬৮টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ২ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ২২ ভাগ। যেখানে জাতীয় গড় অগ্রগতি প্রায় ১৮ ভাগ।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আরিফুর রহমান অপু, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।