তিনি বলেন, ‘আমরা রাজাকার, আলবদর, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও ধর্মান্ধদেরকে বাংলার মাটি থেকে উচ্ছেদ করব, বাংলার মাটি থেকে তাদের মূলোৎপাটন করব। এই বাংলার মাটিতে তাদের কোনো ঠাঁই নেই, থাকতে পারে না।’
রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভাস্কর্য অবমাননার মূল পরিকল্পনাকরী বিএনপি: কাদের
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা রাজাকার, আলবদর, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বাংলার মাটিতে পরাজিত করেছি, সেই পাকিস্তানিদের দোসররা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে বাংলার মাটিতে আর কোনোদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।
তিনি বলেন, আজকে যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর আঘাত করেছে, ভাস্কর্য ভেঙেছে তারা সেটি সুপরিকল্পিতভাবেই করেছে। এই স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি দেশীয়-আন্তর্জাতিক ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং ন্যায়-সমতার ভিত্তিতে একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়তে চেয়েছিলেন। ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর: যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে যেমন ধ্বংস করা যাবে না তেমনি যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে তাদেরকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতো মোকাবিলা করে আবার পরাজিত করব। তাদেরকে আবার আমাদের পায়ের নিচে পড়ে ক্ষমা চাইতে হবে।’
আরও পড়ুন:ভাস্কর্য আছে, থাকবে এবং আরও স্থাপন হবে: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভাস্কর্য ও মূর্তি এক নয়। ভাস্কর্যের একটা নান্দনিক দিক রয়েছে, এটি একটি শিল্প। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে যাতে করে তার আদর্শ ও চেতনাকে এ দেশের ভবিষ্যত বা আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা যায়, জাগরুক রাখা যায়। ভাস্কর্য হচ্ছে স্মৃতিচিহ্ন বা স্মারক। এর মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে এবং মানবপ্রেমে ও মানবসেবায় ব্রতী হবে।
আরও পড়ুন:সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেমভুক্ত (এনএআরএস) ১২টি গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এছাড়াও, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএডিসিসহ অন্যান্য সংস্থাও মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: একাত্তরের পরাজিত শক্তি আবার মাথাচারা দিয়েছে: তোফায়েল
এ সময় কৃষিসচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারসহ সংস্থাপ্রধান ও সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।