জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় চলতি মৌসুমের রেকর্ড ২৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে অফিসপাড়াসহ অনেক এলাকা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকার্যকর হওয়ায় পানি ধীরে নামায় ভোগান্তি আরও বাড়ছে।
জানা যায়, প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা অনেকটা অকার্যকর হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে শহরবাসীর দুর্ভোগ বাড়ছে।
রবিবারও শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ছিল জলজট। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা ও দায়রা আদালত, ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল রোড, কলেজ মোড় থেকে জেলা প্রশাসকের বাসভবন রোড সর্বত্রই পানি আর পানি। হাঁটু পানিতে অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলছে রিকশা ও গাড়ি। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের কোয়ার্টারগুলোর সামনে জমে ছিল হাঁটু পানি।
হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা শাহিন আহমেদ জানান, এ পাড়ার মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, ডাক্তার, স্বাহ্যকর্মী, শিক্ষকসহ ৭০০ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলেই এখানে দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে।
পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও কাজ হয়নি বলে জানান তিনি।
একই অবস্থা চর কুড়িগ্রাম, রৌমারীপাড়া, তালতলা, চর হরিকেশ, ছয়ানিপাড়া বস্তি, পিটিআই বস্তি বিভিন্ন এলাকায়। পানিবন্দী হয়ে পড়ায় এসব এলাকায় রিকশা চালকসহ শ্রমজীবীদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
হাটিরপাড়ের মকবুল ও সরদার পাড়ার আবু সাঈদ মুন্না জানান, পুরনো ড্রেন পরিষ্কারের অভাবে ও কিছু জায়গায় ড্রেন না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমাট বেঁধে থাকে। আর বেহাল দশার কারণে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পৌর সভার মেয়র আব্দুল জলিল জানান, পাকা ড্রেন সংস্কার ও কিছু স্থানে নতুন ড্রেন নির্মাণ পরিকল্পনা থাকলেও বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ করা যাচ্ছে না।
তবে সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে তারা জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছেন বলে দাবি করেন তিনি।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ায় শহর ও গ্রাম এলাকার রাস্তা এমনকি বাড়িঘরে পানি উঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।