তাদের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় প্রতারণা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। আটককৃতরা ফেসবুকে ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক লোন সার্ভিস নামে পেজ খুলে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।
বুধবার রাত ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁইয়া।
আটককৃতরা হলেন- তাড়াশ উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও সদরের খাঁ পাড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে রাব্বী শাকিল ওরফে ডিজে শাকিল (৩২), তার সহযোগী আইটি স্পেশালিস্ট কুস্মবী গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে হুমায়ুন কবির মিলন (২৮) ও ম্যানেজার নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার গাড়ীক্ষেত্র গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে হারুনার রশিদ ওরফে সাইফুল ইসলাম (২৬)।
পুলিশের দাবি, রাব্বী শাকিল কথিত রিশান ইন্টারন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক লোন সার্ভিসের নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের চেযারম্যান। আটকের সময় তার অফিস থেকে ১ হাজার ২০১ কোটি ৭২ লাখ ১০ হাজার টাকার ভুয়া চেক, সামরিক বাহিনীর ভুয়া নিয়োগপত্র, বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভুয়া পরিচয়পত্র ও জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
বগুড়া জেলা ডিবি পুলিশ সূত্র জানায়, ইন্টারন্যাশনাল লোন সার্ভিসের নামে ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দেখে বগুড়ার আমায়রা অ্যাগ্রোফার্মের মালিক আমানতউল্লাহ তারেক ও অভি অ্যাগ্রোফার্মের মালিক আশিক তাদের সাথে যোগাযোগ করেন। কমিশনের মাধ্যমে তাদেরকে পাঁচ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ পাইয়ে দেয়ার নাম করে কয়েক দফায় ১৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় ডিজে শাকিল। এরপর তাদেরকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ঋণ অনুমোদনের চিঠি এবং সাড়ে চার কোটি টাকার দুটি চেকের স্ক্যান কপি মেইলে দেয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও চেকের মূল কপি না দেয়ায় তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ঋণ অনুমোদনের চিঠি ও চেকগুলো ভুয়া। পরে তারা বিষয়টি বগুড়া জেলা পুলিশকে জানালে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইমরান মাহমুদ তুহিনের নেতৃত্বে বুধবার বিকেল ৫টায় পুলিশের একটি দল তাড়াশে শাকিলের অফিসে অভিযান চালায়।