তারা হলেন- খুলনা জেলা ও মহানগর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা বাহাউদ্দিন খান্দকার, সোহরাব হোসেন ও মিরাজ।
ঘটনার প্রায় সাড়ে তিন বছর পর সোমবার সকালে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি পরিদর্শক শাহাজাহান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তাদের আদালতে প্রেরণ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।
২০১৭ সালের ১৪ জুন ইফতারের পর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেনসহ সাত থেকে আটজন রায়েরমহল এলাকার হামিদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় ৮ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি করে। ঘাড়ে, হাতে ও বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই শাহাদাত হোসেনের মৃত্যু হয়। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয় লিয়াকত খান ও তার ছেলে মোস্তফা, বুলবুল ও রুবেল। ঘটনার পর ১০ জুন নিহতর ছেলে আল মামুন সুমন বাদী হয়ে হরিণটানা থানায় অজ্ঞাতদের আমি করে মামলা দায়ের করেন।
তদন্তের এক পর্যায়ে ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন খন্দকার নাম সামনে আসলেই হঠাৎ করে বাদীর আপত্তির পরও মামলা তদন্ত সিআইডি পুলিশে হস্তান্তর হয় বলে অভিযোগ বাদী আল মামুন সুমনের।
টানা কয়েকবছর পর সিআইডি তদন্ত করে সোমবার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। দলীয় কাউন্সিলে গত বছর বাহাউদ্দিন খন্দকার সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত হন। তবে খুলনা দলিল লেখক সমিতির নির্বাচনে খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।