নিহত মানসুর রহমান (৭০)। উপজেরার দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, মানসুর রহমান বাড়িতে একাই ছিলেন। সন্ধ্যার পর গৃহকর্মী বাড়ির প্রধান ফটকে তালা দিয়ে চলে যান। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিবেশীরা বাড়ির ভেতর থেকে মানসুর রহমানের গোঙ্গানোর শব্দ শুনতে পান। তখন তারা গৃহকর্মীকে ডেকে এনে বাড়ির তালা খোলেন। তালা খুলে তারা ভিতরে গিয়ে গলা কাটা অবস্থায় মানসুর রহমানের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় দিনমজুরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্ত্রীসহ আটক ৩
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিহত মানসুর রহমানের স্ত্রী ঢাকায় তার ছেলের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছেন। এরই মধ্যে কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়। জড়িতদের শনাক্তে কাজ শুরু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
ওসি জানান, মানসুর রহমানের ছেলে প্রকৌশলী। আর মেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসার পর এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।
এদিকে, একই রাতে সিলেট নগরীর একটি তালাবদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দরগাহ মহল্লা এলাকার রাজারগল্লিতে ওই ঘরের দরজা ভেঙে রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কানাইঘাটে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
নিহত শহিদুল ইসলাম ওই এলাকার বাসিন্দা ও এসিআই ওষুধ কোম্পানিতে এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও প্রতিবেশী জানায়, শহিদুল ইসলাম প্রায় সাড়ে ৪ বছর ধরে নগরীর দরগাহ মহল্লা এলাকার রাজারগল্লির ৫৬নং লাইলি হাউসের ৫ম তলায় একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রী ও তার ৫ বছরের ছেলেকে নিয়ে ভাড়া ছিলেন। তবে এক সপ্তাহ আগে স্ত্রী-সন্তান শহিদুলের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ধানখেত থেকে ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
কোতোয়ালি থানার এসআই সাত্তার বলেন, ‘৯৯৯-এ দেয়া কলের ভিত্তিতে এসে আমরা শহিদুলের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। তবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। শুধু নাক দিয়ে সামান্য রক্ত বের হয়েছে।’
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শহিদুল স্ট্রোক করে বিছানায় পড়ে যান এবং ওই সময়ই মৃত্যুবরণ করেন। শহিদুলের মূল বাড়ি জামালপুর জেলায়। স্ত্রী ও স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে। আমরা লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।