তারা হলেন- তরগাঁও এলাকার মোস্তফা বেপারীর ছেলে রুমান বেপারী, মহসিন বেপারীর ছেলে জোবায়ের বেপারী, মফিজ উদ্দিন সরদারের ছেলে মোস্তারিধ সরদার, ইহসান বেপারীর ছেলে সাহাবুল হোসেন সাকিব, সফুর উদ্দিনের ছেলে মাসুম শেখ, সামসুল হকের ছেলে রাকিব হোসেন ও বাদল মোড়লের ছেলে মাহফুজুল। গ্রেপ্তারকৃতরা একে অপরের বন্ধু বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে বরগুনায় ভাসুর গ্রেপ্তার
জানা গেছে, কাপাসিয়ার নবীপুর এলাকার ওই মেয়েকে গত ৫ বছর আগে পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর মনোহরদীর আহাম্মদপুর এলাকার এক প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে দেয় তার পরিবার। তাদের সংসারে ৪ বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। গত বুধবার ওই গৃহবধূ স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকালে পূর্ব পরিচিত চরখামের গ্রামের আইন উদ্দিনের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন ফোনে করে তাকে ডেকে আনে। পরে পাশের গ্রামের নরাইদ্দারটেকের এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে চারজন মিলে ধর্ষণ করে। এসময় বাকিরা ধর্ষণে সহায়তা করে। এতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ওই গৃহবধূ। পরে তার মায়ের মোবাইলে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার পরকীয়ার ফাঁদে ফেলে গৃহবধূকে ‘ধর্ষণ’
এ ঘটনার পরে ওই গৃহবধূর মা বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলম চাঁদ জানান, ধর্ষণকারীরা গৃহবধূর মায়ের মোবাইলে ফোন দিয়ে মেয়েকে নিতে হলে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে দাবি করে। ঘটনাটি ওই গৃহবধূর মা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক
পরে গৃহবধূর কথা অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড