শনিবার চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ ও ভিডিও’ ধারণ: নাটোরে আ’লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২
এর আগে, শুক্রবার রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় কাউসার নামে তার এক সহযোগীকেও আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার নুরু নগরীর আকবরশাহের পূর্ব ফিরোজশাহ এলাকার বাসিন্দা। তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের চাঁপাচো হাজি বাড়ির তনু মিয়া ভাণ্ডারির ছেলে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম গ্রেপ্তার
তার বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা ও পাহাড় দখল, কাঠ পাচার, অস্ত্রবাজি ও পুলিশের ওপর হামলাসহ নানা অভিযোগে মামলা রয়েছে।
সূত্র জানায়, নানা অপরাধে নুরুর বিরুদ্ধে নগরীর আকবরশাহ ও খুলশী থানায় ২৮টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ২০১৯ সালের ১৭ আগস্ট তার ১৭ বছর সাজার আদেশ হলেও সেই সাজা পরোয়ানা থানার নথিতে নেই।
আরও পড়ুন: ও লেভেল শিক্ষার্থীকে ‘ধর্ষণ ও হত্যা’: মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ১
পুলিশের দাবি, নুরুর ১৭ বছরের সাজা হওয়ার কোনো পরোয়ানা বিগত দুই বছরে থানায় আসেনি। অথচ সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি পূর্ব ফিরোজশাহ ও নাছিয়াঘোনা এলাকায় পাহাড় দখল করে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব সাম্রাজ্য।
সিএমপির পশ্চিম জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার হুমায়ন কবির জানান, নুরুর বিরুদ্ধে ১৭ বছরের সাজা পরোয়ানার আদালতের আদেশের কপি তাদের থানায় আসেনি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে রাজু হত্যার আসামি গ্রেপ্তার, মুসলিম রীতিতে দাফনের আবেদন স্ত্রীর
দুই বছরেও সাজা পারোয়ানা থানায় না পৌঁছায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন।
তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী যে আদালত সাজা দিয়েছে সেই আদালত থেকে সাজা পরোয়ানা দণ্ডিত আসামি যে থানা এলাকায় থাকেন সেই থানায় যাবে। দুশত বছর ধরে এটাই হয়ে আসছে। কিন্তু থানা বলছে একজন আসামির ১৭ বছরের সাজা পরোয়ানা তাদের কাছে নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার প্রয়োজন আছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় খালাতো ভাই গ্রেপ্তার