বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদি চরপাড়া থেকে সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি রডসহ নিহতের দুটি স্বর্ণের আংটি, একটি ব্রেসলেট ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ২২ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার জসিম মোল্যা (২১) রাজবাড়ির বামুন্দি বালিয়াকান্দি গ্রামের মজিদ মোল্যার ছেলে।
মঙ্গলবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ বিভাগ) জামাল পাশা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, দুটি কারণে রাজু হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। প্রথমত, রাজুদের বাড়ির রাজমিস্ত্রির কাজ করলেও জসিম মজুরি পাচ্ছিলেন না। এ জন্য তিনি রাজুকে খুন করে আংটি, ব্রেসলেট ও মোবাইল হাতিয়ে টাকা জোগাড়ের চিন্তা করেছিলেন। এছাড়া, ওই গ্রামেরই একটি মেয়ের প্রতি তারা দুজনে আকৃষ্ট হয়ে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছিলেন। রাজু ও জসিম দুজনই ইয়াবা ও গাজা সেবন করতেন।
আরও পড়ুন: সাভারে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: পলাতক ২ আসামি গ্রেপ্তার
জিজ্ঞাসাবাদে জসিম স্বীকার করেছে যে গত ২ জানুয়ারি নির্মিতব্য ভবনের আরেক মিস্ত্রি সোহেল না থাকায় রাতে রাজুকে ওই বাড়িতে থাকার অনুরোধ জানান জসিম। এরপর গভীর রাত পর্যন্ত তারা মাদক সেবন করেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজুর মাথায় পেছন দিকে রড দিয়ে সজোরে আঘাত করে তাকে হত্যার পর লাশ টয়লেটে গোপন করে ফেলেন জসিম। পরে সকালে কাউকে কিছু না জানিয়ে বিছানাপত্রসহ কাদিরদি গ্রামে চলে যান। সেই সাথে পরের দিন সকালে পরিবারের লোকজন রাজুর লাশ খুঁজে পায়।
এ ঘটনায় রাজুর মা অরুনা রানী সাহা বাদী হয়ে মধুখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, নিহত রাজুকে স্বামী দাবি করে তাকে মুসলিম রীতিতে দাফনের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেছেন নাসরিন বেগম (২০) নামে এক নারী।
আরও পড়ুন: মাগুরায় প্রেমিকা হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
তার দাবি, ঢাকার সিএমএম কোর্টে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ২০১৮ সালের ৫ জুন রাজু ধর্মান্তরীত হয়ে মুসলমান হন। নিজের নাম পরিবর্তন করে মাহমুদ আহমেদ রাখেন। ওই বছরের ৭ জুন নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। তাদের ৬ মাসের শিশু সন্তান আছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নাসরিনের দেয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই করার জন্যে মধুখালী থানার এসআই সাইফুদ্দিনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নাসরিনের বাড়ি মধুখালির আড়পাড়া গ্রামে, তার বাবার নাম জাকির খান।
আরও পড়ুন: খুলনায় মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হত্যা, ৩ আসামি গ্রেপ্তার
সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুরের ডিআই-ওয়ান নুরুল আলম, ওসি (ডিবি) সুনীল কর্মকার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।