জানা গেছে, ঢাকার সাথে সুনামগঞ্জের দূরত্ব কমাতে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের ডাবর পয়েন্ট থেকে পাগলা-জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়ক হচ্ছে। এই সড়কের প্রশস্তকরণ দেড় বছর পূর্বে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ডাবর পয়েন্ট থেকে জগন্নাথপুর পর্যন্ত ড্রেনেজসহ ২২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ডাবর থেকে জগন্নাথপুর অংশে পুরাতন সেতুগুলো ভেঙে ৭টি নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হয় ৬ মাস আগেই।
আরও পড়ুন:সুনামগঞ্জে ৫৪ পরিবারে শান্তি ফিরিয়ে দিল আদালত
৭টি সেতু নির্মাণকাজে ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স এ- ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে। এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর ওপর সিলেটের দীর্ঘতম একটি সেতু যা ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ করছে। কাজ প্রায় ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বিজয় দিবস উপলক্ষে স্বপ্নের সেতুটি উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন:যশোর ও সুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৯
কুন্দানালা সেতু ধসে পড়ার পর কুশিয়ারা নদীর ওপর নির্মিত রানীগঞ্জ সেতু নিয়ে শংকা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।
তারা বলছেন, রানীগঞ্জ সেতুসহ সুনামগঞ্জের ৭টি সেতু নির্মাণ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স। তাদের প্রতিটি কাজকে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করে দেখা উচিত। অন্যথায় জনমনে ভীতি কাটবে না।
এদিকে কুন্দানালা সেতু ধসের ঘটনায় সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর থেকে পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫ কর্মদিবসের মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:যাদুকাটা নদীর ভাঙনে বিলীনের পথে সুনামগঞ্জের ২ গ্রাম
সুনামগঞ্জবাসী এখন রানীগঞ্জ সেতু নিয়ে ভাবছেন। দ্রুত এ সেতুটি পরখ করে ভীতি দূর করার আহ্বান জানিয়েছে সচেতন মহল।