ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে ছুটে চলা বাসটি বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে ফেনীতে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ সময় বেশিরভাগ যাত্রীই ছিলেন ঘুমে। সদর উপজেলার লেমুয়া সেতু এলাকায় রাস্তার পাশে গাছের সাথে ধাক্কা লাগে গাড়িটির। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ছয়জন। সেই সাথে আহত হন ২০ জনের অধিক যাত্রী।
ভাগ্যবান আহত যাত্রী আজম জানান, তার বাবা কবির আহম্মদ গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আহত আরেক যাত্রী জানান, প্রতিবছর ঈদের পরে মিরপুর থেকে বিভিন্ন স্থানে আনন্দ ভ্রমণের আয়োজন করেন মিল্লাত ক্যাম্পের সেলিমসহ আরও কয়েকজন উদ্যোক্তা। এবারও ১৫টির বেশি বাস মিরপুর থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর মধ্যে বহরে থাকা প্রাইম প্লাস পরিবহনের একটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
গাড়িতে থাকা নার্গিস নামে একজন জানান, তিনি তার ভাইসহ ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন।
যাত্রী রুমা বেগম জানান, বুধবার রাত ২টার দিকে মিরপুর থেকে ১৫ জন যাত্রী ওঠেন। পরে নারায়ণগঞ্জের আদমজী থেকে আরও ৩০ যাত্রী যোগ দেন। ‘ভোর ৪টার দিকে মহাসড়কের পাশে নাস্তা করে গাড়ির যাত্রীরা ঘুমিয়ে যায়। এরপর কোনো এক মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে। তবে দুর্ঘটনার আগে বিকট শব্দ শুনতে পাই।’
এ দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগরের শাহাদাত হোসেন (৩০), বিক্রমপুরের অপু (৩৫) ও সুজন মিয়া (২৮), মিরপুরের ইকবাল (৩৮) ও শামীম (৩০), মাদারীপুরের রিপন (৩০) এবং নারায়ণগঞ্জের মুন্না খান (৩০) ও ফয়সাল (১৫)।
ফয়সালের ভাই জাকের জানান, তার ভাই স্থানীয় স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। বন্ধুদের সাথে সে কক্সবাজার-বান্দরবানে আনন্দ ভ্রমণে যাচ্ছিল।
ফেনী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পরিচালক মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, হতাহতরা সবাই ঢাকার মিরপুর ও নারায়ণগঞ্জের আদমজী এলাকার বাসিন্দা।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নাজমুল হক শাম্মী বলেন, এ ঘটনায় গুরুতর আহত ২০ জনকে তাদের হাসপাতালে চিকিৎসার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।