তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো তৃণমূল পর্যায় থেকে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন।
সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশব্যাপী সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বিস্তৃত করেছে এবং আগামী দিনগুলোতে এটি আরও জোরদার করা হবে।
যোগাযোগ খাত নিয়ে আলাপকালে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার রেল, নৌ ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করছে এবং রেল যোগাযোগ উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে যেখানে জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ অন্যান্য দেশ বিনিয়োগ করেছে। তাদের জন্য সেখানে জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা জার্মান বিনিয়োগকারীদের শিল্প কারখানা স্থাপনে তাদের পছন্দ অনুযায়ী জমি নেয়ার প্রস্তাব দেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলের একটি শুভেচ্ছা বার্তা শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন। এতে নতুন মেয়াদে দায়িত্ব নেয়া প্রধানমন্ত্রীর সফলতা কামনা করেন জার্মান চ্যান্সেলর।
মেরকেল তার বার্তায় বলেন, ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের পথে চলা আপনার দেশের সফলতা কামনা করছি।’
অংশীদারিত্বের চেতনার আলোকে বাংলাদেশের পাশে থাকার ক্ষেত্রে জার্মানি আনন্দিত বলেও জানান চ্যান্সেলর মেরকেল।
রাষ্ট্রদূত ফারেনহোল্টজ বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার পড়েছেন এবং তা বাস্তবায়নে তার দেশ শেখ হাসিনার সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, জার্মান সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি এবং জার্মান সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে আরেকটি প্রতিনিধিদল শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলাপকালে ফারেনহোল্টজ বলেন, তিনি তিন দিন ধরে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানকার বিভিন্ন মানুষজনের সাথে কথা বলেছেন।
সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।