তিনি বলেন, দশম বারের মতো আগামী ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, এ বছর ২৭ লাখ ৭৭ হাজার ২৭০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ১২ লাখ ৭৮ হাজার জন ছাত্র এবং ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ছাত্রী ।
গত বছরের চেয়ে এবার ২৩ হাজার ৪৭২ জন শিক্ষার্থী এ বছর বেশি অংশগ্রহণ করছে বলেও তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, এবার পরীক্ষায় বহু নির্বাচনী প্রশ্ন এমসিকিউ বাদ দেয়া হয়েছে। এ পরীক্ষায় ৬টি বিষয়ের প্রতিটিতে ১০০ করে মোট ৬০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া নির্বাচনের আগেই ফল প্রকাশ করারও চেষ্টা করা হবে।
‘আমরা সরকারিভাবেই পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে সংশ্লিষ্ট সব ধরণের কোচিং বন্ধ রাখার চেষ্টা করছি’ যোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রতিটি জেলার পরীক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি।
গেল দশ বছর এমসিকিউ পদ্ধতি রেখে পরীক্ষা পরিচালনা করে শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হতে পারে। আগে ভালো ছিল এখন হয়তো আরও ভালো হবে।