সাংবাদিক রক্ষা কমিটির একটি বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক সংগঠনটি জানায়, চলতি বছরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৪ জন সাংবাদিক তাদের কাজের জন্য প্রতিশোধের শিকার হয়ে খুন হয়েছেন। অন্যান্য ঘটনায় সর্বমোট ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। ২০১৭ সালে কমিটির নথিভুক্ত ৪৭টি মৃত্যুর মধ্যে ১৮ জন সাংবাদিক প্রতিশোধের শিকার হয়ে খুন হয়েছেন।
বুধবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট ও আলোচিত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসের ভেতর খাশোগিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের এই হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে খাশোসির হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ সৌদি যুবরাজ দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মাসে বলেছেন, ‘সালমান নির্দেশ দিতেও পারেন, নাও দিতে পারেন।’ অথচ এর আগে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকারীদের প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করে ট্রাম্প তাদেরকে ‘জনগণের শত্রু’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।
প্রতিশোধের শিকার হয়ে খুন হওয়ার পাশাপাশি সাংবাদিকরা যুদ্ধক্ষেত্রে অথবা বন্দুকযুদ্ধেও নিহত হয়েছেন। এছাড়া পেশাগত কারণে অন্যান্য বিপজ্জনক অ্যাসাইনমেন্টের কাজ করতে গিয়েও মারা গেছেন। আফগানিস্তানে এই বছর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিস্ফোরণ এবং জঙ্গি দল ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আত্মঘাতী বোমা হামলার শিকার হয়ে সেখানে ১৩ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গেল সপ্তাহে টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তির তালিকায় স্থান পান নিহত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি, মার্কিন দৈনিক ক্যাপিটাল গেজেটের সংবাদকর্মী, মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের ওপর প্রতিবেদন করার সময় গ্রেপ্তার ও এক বছর ধরে কারাবন্দী রয়টার্সের দুই সাংবাদিক ওয়া লোন এবং কিয়াও সো ও এবং ফিলিপাইনের নিউজ পোর্টাল র্যাপলারের প্রতিষ্ঠাতা ও নারী সাংবাদিক মারিয়া রেসা। নিপীড়িত সাংবাদিকদের প্রতি সম্মান জানিয়ে চারটি ভিন্ন ভিন্ন প্রচ্ছদ ছাপায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ম্যাগাজিনটি।