তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রতিনিয়ত বিএনপিকে উপদেশ দিচ্ছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাদের বিএনপির কি করা উচিৎ, দলের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আগাম বলে দিচ্ছেন এবং আমাদের নানা ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন।’
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরও বলেন, ‘সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদের এখন স্বেচ্ছায় বিএনপি’র উপদেষ্টা হতে চলেছেন। সুতরাং খামোখা আওয়ামী লীগে থেকে তার লাভ কী, বরং ওবায়দুল কাদেরকে বিএনপিতে যোগ দেয়ার আহবান জানাচ্ছি। বিএনপি’র দরজা খোলা আছে।’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপি নেতা বলেন, ‘অনাচারের পাহাড়সম স্তুপে আওয়ামী নেতাকর্মীরা ভীত সন্ত্রস্ত। বিভিন্ন এলাকায় তারা তলেতলে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখা শুরু করেছে। অনাগত ভবিষ্যৎ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গভীর দুঃশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সেজন্য স্বেচ্ছায় বিএনপি’র উপদেষ্টার আসনে বসতে চাচ্ছেন ওবায়দুল কাদেরসহ অন্য নেতারা।’
সংসদে বিএনপিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বিএনপি সংসদে না গেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিয়া পরিবারকে নিয়ে সংসদে বিষোদগার করছেন। ‘মিডনাইট ভোটের’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাবি করেন, ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে এবং জনগণ বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করেছে। তিনি সবার বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে একাই এসব কথাবার্তা বলেন।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাকর্মী ছাড়া অন্য কেউ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলেনি। এমনকি মহাজোটের শরিককরাও এখন বলছে যে, ভোট হয়েছে আগের দিন রাতেই। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল ক্ষমতা ক্ষুধা গ্রাস করেছে গণতন্ত্রকে।’