তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক, বিএনপির অনেকে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নিতে চান। আমাদের কাছে এর প্রমাণ আছে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দ্বিতীয় দিনের মতো দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রয় কার্যক্রম অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে বিজয়ীর সংখ্যায় বেশি ছিল বিএনপি। গতবার যারা বিজয়ী হয়েছেন তারা এবার নির্বাচনের মাঠ ফাঁকা ছেড়ে দেবেন, আমার তা মনে হয় না। এটা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। অনেকেই নির্বাচন করতে চাইবেন।’
‘বিএনপি নির্বাচনে আসবে না, এটা আনুষ্ঠানিকভাবে বলেছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে তাদের প্রার্থী নেই। কিন্তু কাউন্সিলর পর্যায়ে অনেক নেতার প্রার্থিতা রয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপি দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে না থাকলেও তারা যে একেবারে মাঠে নেই সে কথা বলা যাবে না বলে মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের।
তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে তারা (বিএনপি) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে পারে। দিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কাজেই আমাদের সবকিছু মাথায় রাখতে হচ্ছে। বিএনপি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছে না। তারা ভেতরে-ভেতরে প্রার্থিতার জন্যে মনোনয়ন জমা দিচ্ছে।’
বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও প্রার্থিতার অভাব হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার শঙ্কা কম। বিএনপি নির্বাচন না করলে অন্যরাও করবে না, তা তো নয়। জাতীয় পার্টি আছে, ১৪ দলের শরিকরা আছে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির অধিকার। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাদের নির্বাচনে (উপজেলা) আসার আহ্বান জানাতে পারি। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে এটা তাদের অধিকার, সরকারি দলের দেয়া কোনো সুযোগ নয়।’
বিএনপির আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, গণআন্দোলন করার মতো ইস্যু তাদের কাছে ছিল, কিন্তু তারা তখন আন্দোলন করতে পারেনি। তাদের দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি যখন গ্রেপ্তার হলেন তখন তারা জনমনে বিন্দুমাত্র আলোড়ন তুলতে পারেনি। তারা যে আন্দোলন করবে নতুন করে, এমন কোনো ইস্যু তো তাদের সামনে নেই। নতুন সরকার এ মুহূর্তে কোনো ইস্যু দিচ্ছে না। তাহলে তারা কিসের ওপর ভিত্তি করে আন্দোলন করবে?
একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আওয়ামী লীগে ফিরছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘এটা তার নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়, তার নিজস্ব চিন্তা-ধারণা। এটা নিয়ে তার সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। আর এ ধরনের কোনো প্রস্তাব আমি দিতে যাব কেন? তারও বিবেক আছে, রাজনীতি করেন। কাজেই তিনি তার বিবেক থেকে এ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আমরা কেন তাকে প্রভাবিত করব?’