পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম পরাজয়ের পর বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বলেন, টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে হলে তাদের উন্নতি করতে হবে।
এবার নিউজিল্যান্ডের কাছে দ্বিতীয় হারের পর বাংলাদেশ দলের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও সোহানের সুর মিলিয়ে বলেন, ‘আমাদের উন্নতি করতে হবে।’
ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে শক্তিশালী দলগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু যখন টি-টোয়েন্টির কথা আসে তখন বাংলাদেশকে এমন একটি দল মনে হয় যাদের কী করা উচিত সে সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই বলে মনে হয়।
ম্যাচ শেষে সাকিব সম্প্রচারককে বলেন, ‘আমরা ভালো শুরু করেছিলাম বটে কিন্তু আমরা তাদের মানসম্পন্ন স্পিনারদের সামলাতে পারিনি এবং কোনো ম্যাচে কোনো গতিও পাইনি।
আশ্চর্যজনকভাবে দলের সেরা তিন ব্যাটার ব্ল্যাকক্যাপদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরির জন্য যা করা প্রয়োজন ছিল তা করতে পারেনি এবং তারপরও সাকিব ব্যাটিং অর্ডারে নিচের দিকে নামেন। এর কারণ কী হতে পারে? সাকিব জানান, ইনিংসের মাঝপথে ডানহাতি-বামহাতির সমন্বয়ের জন্য তিনি এমনটা করেছিলেন।
সাকিব বলেন, ‘ব্যাটিং এমন একটি অন্যতম ক্ষেত্র যেখানে আমাদের উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে এবং সেটা নিয়ে আমরা কাজ চালিয়ে যাব। দুটি ম্যাচ হারলে নিজেদের শক্তি ধরে রাখা কঠিন, কিন্তু বিশ্বকাপ আসছে, তাই পরের দুটি ম্যাচ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি দলের নতুন অধিনায়ক সাকিব
গত দুই বছরে ২৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেও বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট এখনও স্থায়ী ওপেনিং জুটি নির্ধারণে হিমশিম খাচ্ছে। টি-টোয়েন্টি থেকে তামিম ইকবালের অবসরের পর সমস্যা আরও তীব্র হয়েছে।
সাম্প্রতিক ম্যাচে বাংলাদেশ পরীক্ষামূলক ওপেনিং জুটি হিসেবে মেহেদী হাসান ও সাব্বির রহমানকে মাঠে নামিয়েছে। নতুন অবস্থানে এখন পর্যন্ত ভালো করছে মেহেদী। কিন্তু সাব্বির এরই মধ্যে প্রমাণ করলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রকৃতপক্ষে তার কাছে দেয়ার মতো তেমন কিছু নেই। এখন, বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট নাজমুল হোসেন শান্তকে ফিরিয়ে এনেছে। অথচ এই ফরম্যাটে জায়গা পাওয়ার মতো কিছুই করেননি তিনি।
সামগ্রিকভাবে, বিশ্বকাপ সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল খেলোয়াড়দের পরীক্ষা করার জন্য একটি পরীক্ষাগার হয়ে উঠেছে।