চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজির খেলোয়াড় ও কর্মীরা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর অবশেষে মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) স্থগিত করা হয়েছে।
ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং টুর্নামেন্টের কর্মকর্তারা ‘তাত্ক্ষণিকভাবে আইপিএল ২০২১ মৌসুম পিছিয়ে দেয়ার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
বিসিসিআই জানায়, ‘বিসিসিআই খেলোয়াড়, সমর্থক এবং আইপিএল আয়োজনে জড়িত অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তায় কোনো আপস করতে চায় না।’
‘এটা কঠিন সময়, বিশেষ করে ভারতে। যদিও আমরা কিছুটা ইতিবাচক এবং উত্সাহ আনার চেষ্টা করেছি, তবে এটি এখনই জরুরি যে টুর্নামেন্টটি স্থগিত করা হয়েছে এবং প্রত্যেকেই এই কঠিন সময়ে তাদের পরিবার ও প্রিয়জনদের কাছে ফিরে যাবে,’ বিবৃতিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত
এর আগে করোনার কারণে সোমবারের কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালুরের মধ্যকার নির্ধারিত ম্যাচটি পেছানো হয়েছিল।
মঙ্গলবার চেন্নাই সুপার কিংসের দুই কর্মী, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ঋদ্ধিমান সাহা ও দিল্লি ক্যাপিটালসের অমিত মিশ্রও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
৯ এপ্রিল থেকে প্রতি সন্ধ্যায় দর্শক ছাড়াই আইপিএলের খেলা চলছে। যদিও ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বিসিসিআই বলছে, ‘আইপিএল ২০২১-এ অংশ নেয়া সবাইকে নিরাপদে পৌঁছে দিতে তাদের ক্ষমতার মধ্যে সব করা হবে।’
এদিকে, ভারতে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ২২৯ জন। বর্তমানে দেশটিতে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ কোটি ২ লাখ ৮২ হাজার ৮৩৩ জনে।
দেশটিতে নতুন করে ৩ হাজার ৪৪৯ জন করোনা রোগীর মৃত্যুর পর মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২২ হাজার ৪০৮ জনে। খবর এনডিটিভির।
ভারতে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ৪৭ হাজার ১৩৩ জন এবং এখন পর্যন্ত দেশটিতে সুস্থ হয়েছে ১ কোটি ৬৬ লাখ ১৩ হাজার ২৯২ জন।
আরও পড়ুন:ভারতে করোনা আক্রান্ত ২ কোটি ছাড়াল
প্রতিবেশী এই দেশটিতে করোনারে সর্বোচ্চ প্রকোপের মধ্যেই দেশটিতে কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউন ঘোষণা করে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষা বাতিল ও স্থগিত করেছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশটিতে শনিবার (১ মে) থেকে ১৮ বছরের ওপরের সকলের জন্য তৃতীয় ধাপে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে।