প্রথমে চুক্তি একেবারেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েও ভেস্তে যায়। এরপর কিছুদিনের অনিশ্চয়তা। তারপর সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে সেই আতলেতিকো মাদ্রিদেই নাম লেখালেন ইংলিশ মিডফিল্ডার কনর গ্যালাগার।
৪২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে তাকে চেলসি থেকে ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় নিয়ে এসেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। পাঁচ বছরের জন্য মাদ্রিদের এই ক্লাবটির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
গ্যালাগারকে পেতে টটেনহ্যাম হটস্পার ও অ্যাস্টন ভিলাও চেষ্টা চালিয়েছিল। তবে আতলেতিকো মাদ্রিদকেই বেছে নিয়েছেন তিনি।
শৈশবের ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার আগে ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশে আবেগী বিদায় বার্তা লিখেছেন তিনি।
‘আমার স্বপ্ন সত্যি করতে চেলসির সবাইকে ধন্যবাদ। প্রতিবার যখনই আমি এই ক্লাবের জার্সি গায়ে চড়িয়েছি, ততবারই সম্মানিত বোধ করেছি। তাছাড়া অসংখ্যবার অধিনায়কের ভূমিকা পালন করতে পারাটাও ছিল আমার কাছে স্বপ্নের মতো।’
‘আমি (এখানে) প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। এই স্মৃতি আজীবন আমার হৃদয়ে থাকবে। ভক্তদের কাছ থেকে যে পরিমাণ সমর্থন ও ভালোবাসা পেয়েছি তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। (স্ট্যামফোর্ড) ব্রিজে আমার নামে জয়ধ্বনি শুনতে পাওয়া সত্যিই এক বিশেষ অনুভূতি ছিল।’
‘সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ! ক্লাবের ভবিষ্যতের জন্য আমার শুভকামনা। আশা করি, স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে খুব শিগগিরই দেখা হবে।’
এদিকে এক অফিশিয়াল বিবৃতিতে চেলসি লিখেছে, ‘ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাওয়া গ্যালাগারকে আমাদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।’
আরও পড়ুন: আলভারেস আতলেতিকোর ডিএনএর সঙ্গে পুরোপুরি মানানসই: সিমিওনে
মাত্র আট বছর বয়স থেকে চেলসির অ্যাকাডেমিতে বেড়ে উঠে গত মৌসুমে ক্লাবটির মূল দলে জায়গা করে নেন গ্যলাগার। তবে চেলসির অ্যাকাডেমিতে বড় হলেও পেশাদার ফুটবলে চেলসির শার্ট পরতে বেশ অপেক্ষা করতে হয় এই মিডফিল্ডারকে। শুরুতে চার্লটন, সোয়ানসি, ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিয়ন ও ক্রিস্টাল প্যালেসের মতো ক্লাবে তাকে ধারে খেলতে পাঠায় চেলসি। এরপর ২০২২ সালে তিনি চেলসির সিনিয়র দলের শার্ট পরার সুযোগ পান।
তারপর গত মৌসুমে লিগে ৩৭ ম্যাচে শুরুর একাদশে থেকে মাঠে নামেন গ্যালাগার। বাকি একটি ম্যাচ শৃঙ্খলাজনিত শাস্তির কারণে খেলা হয়নি তার। শুধু তাই নয়, রিস জেমস ও বেন চিলওয়েলের চোটের কারণে অধিকাংশ ম্যাচেই অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।