সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নিষেধাজ্ঞা শেষে দীর্ঘ এক বছর পর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাদা জার্সিতে মাঠে নামেন সাকিব। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হতে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস উপহার দেন। ওই ম্যাচে মাত্র ছয় ওভার বল করতে পারেন এই অলরাউন্ডার। ইনজুরির কারণে ম্যাচের অধিকাংশ সময়ই তাকে সাইডলাইনে বসে থাকতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: প্রত্যাবর্তন সহজ হবে না: সাকিব
চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন তার বাম উরুতে ব্যথা পাওয়ার পর থেকে সাকিবকে ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে এবং সতর্কতার সাথে বিবেচনা করার পরে, নিশ্চিত হয়ে গেছে যে তিনি দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেবেন না। জৈব সুরক্ষা বলয় ছেড়ে গেলেও সাকিব বিসিবির মেডিকেল দলের পর্যবেক্ষণেই থাকবেন।
চট্টগ্রাম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরে ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ক্যারিবিয় ব্যাটসম্যান কাইল মায়ার্সের দানবীয় ইনিংসে ভর করে স্বাগতিকদের ৩ উইকেটের ব্যবধানে হারায় সফরকারীরা।
কাইল মায়ার্স ২০টি চার ও ৭টি ছক্কায় ২১০ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া এনক্রুমা বোনার করেন ৮৬ রান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শনিবার প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৯৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে তিন উইকেট হারিয়ে ১১০ রান করে। রবিবার শেষ দিনে এই ম্যাচটি জিততে সফরকারীদের প্রয়োজন ছিল ২৮৫ রান। অন্যদিকে সাত উইকেট নিলেই দুই ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যেত টাইগাররা।
আরও পড়ুন: বিসিবিতে নতুন ভূমিকায় আসতে যাচ্ছেন শাহরিয়ার নাফীস
ক্রিকেটের নির্দিষ্ট বল দিয়েই ক্রিকেট খেলতে হবে: মাশরাফি
চট্টগ্রাম টেস্ট: হেরেই গেল বাংলাদেশ
চতুর্থদিন শেষে এনক্রুমা বোনার ও কাইল মায়ার্স যথাক্রমে ১৫ ও ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। রবিবার শেষদিনে এই জুটিই যেন বাংলাদেশের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ২১৬ রানের বড় জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন এই দুই ব্যাটসম্যান। ৫৯ রানে ৩ উইকেট হারানো সফরকারীরা চতুর্থ উইকেট হারায় ২৭৫ রানে।
বোনার ৮৬ রানে আউট হলেও এক প্রান্ত আগলে রাখেন অভিষেকেই সেঞ্চুরি হাঁকানো মায়ার্স। তুলে নেন ডাবল সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেন এই বামহাতি ব্যাটসম্যান।
বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ ৪টি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া তাইজুল ২টি ও নাইম ১টি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে ডানহাতি অলরাউন্ডার মেহেদীর সেঞ্চুরির সুবাদে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৩০ রানে। মেহেদী আট নম্বরে নেমে ১৬৮ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে ১০৩ রান করেন। পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম ইনিংসে ২৫৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে ১৭১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট শুরু করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক মুমিনুলের দশম সেঞ্চুরি এবং লিটন দাসের ষষ্ঠ ফিফটিতে ভর করে আট উইকেটে ২২৩ রান করে ৩৯৪ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।
এর আগে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: রাজ্জাকের বাম হাতের ভেলকি দেখেছে সবাই, এবার দেখবে মস্তিষ্কের: মাশরাফি
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
সম্মিলিত সিদ্ধান্তে দলের বাইরে মাশরাফি: প্রধান নির্বাচক