জিতলেই শেষ আট নিশ্চিত- এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে ৮ উইকেট হারিয়ে ভারতকে ১১১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিকরা।
এদিন শুরুতেই জোড়া উইকেট শিকার করা আর্শদীপ অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। চার ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে চারটি উইকেট সংগ্রহ করেছেন তিনি। তবে বল হাতে নিষ্প্রভ ছিলেন বুমরাহ।
অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন নীতীশ কুমার। স্টিভেন টেইলর ২৪ ও কোরি অ্যান্ডারসন করেন ১৪ রান।
ইনিংস শুরু করা আর্শদীপ সিং প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট শিকার করেন। প্রথম বলে শায়ান জাহাঙ্গীরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলার পর ওভারের শেষ বলে অ্যান্ড্রিস গাউসকে ক্যাচ আউট করে সাজঘরে পাঠান তিনি। তার বাউন্সারে বিভ্রান্ত হয়ে বোলিং-এন্ডে ক্যাচ দিয়ে ফেলেন গাউস, দৌড়ে এসে তা ধরতে ভুল হয় না হার্দিকের।
আরও পড়ুন: পাঁচ শর্তের প্রথমটি উতরে গেল পাকিস্তান
দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র, যার প্রভাব পড়ে স্কোরবোর্ডে। পাওয়ার প্লেতে আর উইকেট না খোয়ালেও মাত্র ১৮ রান করে তারা।
এরপর অষ্টম ওভারে দলকে ব্রেকথ্রু এনে দেন হার্দিক নিজেই। তার ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে ডিপ অঞ্চলে সিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় অধিনায়ক অ্যারন জোন্সকে। ২২ বলে একটি ছক্কা মেরে ১১ রান করে যান তিনি।
এরপর রান বাড়াতে মনোযোগী হন স্টিভেন টেইলর ও নিতীশ কুমার। তবে ১২.৩ ওভারে অক্ষর প্যাটেলকে ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে বোল্ড হয়ে যান ৩০ বলে ২৪ রান করা টেইলর। দলীয় ৮১ রানের মাথায় নীতীশ কুমারকে (২৭) ফেরান আর্শদীপ।
এসময় উইকেট পড়লেও বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি বের করতে সচেষ্ট হতে দেখা যায় ব্যাটারদের, যা ম্যাচের শেষ পর্যন্ত চলে।
৮১ রানে ৫ উইকেট পড়ে গেলে দেখেশুনে মেরে খেলতে শুরু করেন কোরি অ্যান্ডারসন ও হারমিত সিং। তবে ১৬.৫ ওভারে কোরিকে (১৪) হার্দিক ও ১৭.৩ ওভারে হারমিতকে (১০) ফেরান আর্শদীপ।
শেষের দিকে শ্যাডলি ভ্যান শাল্কউইক ও জসদীপ সিং যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা চালান। শেষ বলে জসদীপ রান আউট হলে ১১০-এ থামে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: সুপার এইটের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র