টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট খেলতে নেমেই স্বরূপে ফিরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাটিং করে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রকে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে আইডেন মার্করামের দল।
বুধবার অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ড স্টেডিয়ামে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আগে ব্যাট করতে পাঠান যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক অ্যারন জোনস। শুরুতে ব্যাটিং করে চার উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এদিন ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক। তার ব্যাট থেকেই দলীয় সর্বোচ্চ ৭৪ রান আসে। ৪০ বল মোকাবিলায় ৫টি ছক্কা ও ৭টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। এছাড়া মার্করাম ৩২ বলে ৪৬, হাইনরিখ ক্লাসেন ২২ বলে অপরাজিত ৩৬ এবং ট্রিস্টান স্টাবস ১৬ বলে অপরাজিত ২০ রান করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সৌরভ নেত্রভালকার ও হারমিত সিং দুটি করে উইকেট নেন। বড় স্কোরের দিনও এই দুই বোলার ছিলেন যথেষ্ঠ ইকোনোমিক। সৌরভ চার ওভারে ২১ ও হারমিত ২৪ রান দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অধিনায়কত্ব ছাড়লেন উইলিয়ামসন
ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই চালিয়ে খেলতে থাকা রিজা হেন্ড্রিকসকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ২.৪তম ওভারে মিড-অফ অঞ্চলে কোরি অ্যান্ডারসনের হাতে ধরা পড়েন হেন্ড্রিকস। তিনি ১১ রান করে ফিরে গেলে দলীয় ১৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরপর ১১০ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখিয়ে হারমিতের বলে ক্যাচ হয়ে মাঠ ছাড়েন ডি কক। ১২.২তম ওভারে হারমিতের করা ফুল টস ডেলিভারিটি উড়িয়ে মেরেছিলেন প্রোটিয়া ওপেনার। তবে বল দূরত্ব না পাওয়ায় ডিপ মিড-উইকেটে সায়ান জাহাঙ্গীরের তালুবন্দি হন তিনি। পরের বলেই নতুন ব্যাটার ডেভিড মিলারকে কট অ্যান্ড বোল্ড করে দেন হারমিত। এর ফলে ১২৬ রানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেট পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার।
এরপর ১৫তম ওভারের শেষ বলে সৌরভের দ্বিতীয় শিকার হন আরেক সেট ব্যাটার মার্করাম। ফলে ১৪১ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। এরপর ম্যাচের বাকি কাজটুকু শেষ করেন ক্লাসেন ও স্টাবস।
গ্রুপপর্বের প্রতিটি ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রের স্লো উইকেটে খেলার কারণে কোনো ম্যাচেই বড় সংগ্রহ করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েই ব্যাটিং ঝলক দেখা গেল দলটির ব্যাটারদের কাছ থেকে। সেমি ফাইনালের পথে একধাপ এগিয়ে যেতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের।
আরও পড়ুন: আচরণবিধি ভেঙে শাস্তি পেলেন তানজিম
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। সেক্ষেত্রে তারাও প্রথমবারের মতো নিজ দেশের মাটি, দর্শক ছেড়ে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে খেলতে গিয়েছে। প্রথমবার অংশ নিয়েই সেমি ফাইনাল খেলার গৌরব অর্জন করতে চাইবে আন্তর্জিাতিক ক্রিকেটে নবাগত এই দলটিও। তাই প্রোটিয়া বোলারদের বিপক্ষে তাদের ব্যাটাররা কতটা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারবে, তার ওপরই নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের ভাগ্য।