অবশেষে বাংলাদেশের স্বপ্ন সত্যি হলো, যখন নারী ফুটবল দল সাত জাতির সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে নতুন চ্যাম্পিয়নের শিরোপা জিতেছে। সোমবার সন্ধ্যায় কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে (রঙ্গশালা)চারবারের ফাইনালিস্ট এবং স্বাগতিক নেপালকে প্রথমবারের মতো ফাইনালে পরাজিত করে জয়ের রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ দল।
টুর্নামেন্টের ষষ্ঠতম সংস্করণে এই প্রথমবার দক্ষিণ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ভারত ছাড়া অন্য কোনও দেশ জিতেছে।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে উদ্বোধনী গোলটি আসে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামা শামসুন্নাহার জুনিয়রের কাছ থেকে। শামসুন্নাহার স্মার্টভাবে ডান দিক থেকে একটি ক্রস পূরণ করতে ফিনিশিংয়ে ফ্লিক করেন।
নেপাল বেশিরভাগই বক্সের বাইরে থেকে লম্বা শট খেলছিল, কিন্তু দুর্দান্ত গোলরক্ষক রূপনা চাকমা প্রতিবারই ফ্রি কিকগুলো ঠেকিয়ে দেয়।
খেলার ৪২তম মিনিটে স্বাগতিকদের বিপক্ষে আরেকটি গোল করেন কৃষ্ণা রানী সরকার। নেপালের গোলরক্ষককে কোনও সুযোগই না দিয়ে একটি অপ্রতিরোধ্য ফিনিশিং এ বল সোজা জালে ঢোকান।
আরও পড়ুন: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল: নেপালের বিপক্ষে ২-০ গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ
নিয়মিত স্ট্রাইকার স্বপ্না চোট নিয়ে মাঠ ছাড়ার পর তার পরিবর্তে মাঠে নামেন শামসুন্নাহার। নেমেই কয়েক মিনিটের মাথায় তিনি গোল করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে নেপাল শক্তিশালী অ্যাটাকিং মুড নিয়ে মাঠে নামে। খেলার ৭০তম মিনিটে অনিতা বাসনেত ড্রাইভিং শটে নেপালের পক্ষে প্রথম গোল করে ব্যবধান কমান। এটাই ছিল নেপালের প্রথম ও একমাত্র গোল।
এর মাত্র ৬ মিনিট পরে কৃষ্ণা রানী সরকারের দ্বিতীয় গোলের মাধ্যমে বাংলাদেশ আবারও ম্যাচের লিড নেয়।
ষষ্ঠ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ফাইনাল সহ পাঁচটি ম্যাচ জিতেছে এবং মাত্র একটি ম্যাচে হেরেছে। ছয় ম্যাচ মিলে বাংলাদেশ মোট ২৩টি গোল করেছে।
অন্যদিকে, তাদের আগের তিনটি ম্যাচে টানা জয়ের পর হিমালয়ের দেশ নেপালের জন্য এটাই প্রথম পরাজয়।
টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
আরও পড়ুন: ‘সাফ উইমেনস চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে আপনাদের সমর্থনের প্রতিদান দিতে চাই’
সাফ মহিলা চ্যাম্পস: চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে সোমবার নেপালের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ