টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে গিয়েও তিন রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এর ফলে সেমিফাইনালে খেলার আশা শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের জন্য।

 শারজায় ১৪৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান করতে পারে বাংলাদেশ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৩ রানের প্রয়োজন ছিল টাইগারদের। ব্যাটিংয়ে তখন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছিলেন। বাউন্ডারিহীন আন্দ্রে রাসেলের ওই ওভারে রিয়াদ-আফিফ ৯ রান নিতে পারে।

এর আগে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান করে ক্যারিবীয়রা। দলের হয়ে নিকোলাস পুরান ২২ বলে ৪০,  রোস্টন চেজ ৪৬ বলে ৩৯ এবং জেসন হোল্ডার মাত্র ৫ বলে ১৫ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী, মুস্তাফিজ এবং শরীফুল দুটি করে উইকেট নেন।

জবাবে ১৪৩ রানে লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে আজও ব্যর্থ সাকিব-নাঈমরা। ওপেনিংয়ে পরিবর্তন এনেও পাওয়ার প্লের সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ ব্যাটাররা। ওপেন করতে নেমে দলীয় ২১ রানে ব্যক্তিগত ৯ রানে সাজঘরে ফিরেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া আরেক ওপেনার নাঈম শেখও দলীয় ২৯ রানে ব্যক্তিগত ১৭ রানে হোল্ডারে বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান। 

এরপর তিনে নামা লিটন দাস এবং চারে নামা সৌম্য সরকার কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। দলীয় ৬০ রানে আকিলের বলে গেইলের দুর্দান্ত ক্যাচে ব্যক্তিগত ১৭ রানে আউট হন সৌম্য সরকার। পরে মুশফিক ৮ রান করে করে ফিরলেও দলীয় রান তখন ১৩.৩ ওভারে ৯০ রান ছিল। অপরপ্রান্তে লিটন দাস ভালোই খেলছিলেন। শেষ তিন ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৩২ রান। ১৯ ওভারের শেষ বলে ছয় মারতে গিয়ে লিটন ব্যক্তিগত ৪৪ রান করে আউট হয়ে যান। শেষ ওভারে ১৩ রান লক্ষ্য দাঁড়ালেও রিয়াদ-আফিফরা রাসেলে ওভারে ৯ রান নিতে পারে।

 আগামী ২ ও ৪ নভেম্বর যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ৫০ রানে ৩ উইকেট নেই ক্যারিবীয়দের

১৪৩ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ