এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) সকাল ৮টা ২৯ মিনিটে জনবহুল এ শহরের স্কোর ছিল ১০৯। যাতে বাতাসের মানকে সংবেদনশীল মানুষদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল নগরবাসী বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা থাকে বলে ধরা হয়। তবে, অন্য সাধারণ মানুষদের এ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ, পাকিস্তানের লাহোর এবং ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় যথাক্রমে ১৫৫, ১৫৩ ও ১৪৯ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
একিউআই সূচকে ৫০ এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। সূচক ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেয়া হয়।
এছাড়া, একিউআই মান ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
একিউআই স্কোর ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। এ সময় স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ প্রত্যেক নগরবাসীর জন্য জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
জনবহুল ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বাতাস নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। মূলত নির্মাণ কাজের নিয়ন্ত্রণহীন ধুলা, যানবাহনের ধোঁয়া, ইটভাটা প্রভৃতি কারণে রাজধানীতে দূষণের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে। তবে মধ্য জুন থেকে বৃষ্টিপাত শুরুর পর বাতাস পরিষ্কার হতে আরম্ভ করে। আর জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বর্ষার মৌসুমে বাতাসের মান মোটামুটি গ্রহণযোগ্য থাকে।
বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে এ শহরের চারপাশে অবস্থিত ইটভাটাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় মৌসুমি জলবায়ুর কারণে বাংলাদেশে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বৃষ্টিপাত, উচ্চ তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতায় বৈচিত্র্য দেখা যায়।