তিনি বলেন, ‘ইউরোপের অনেক দেশেই করোনা আক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ দেখা যাচ্ছে। এ দ্বিতীয় ঢেউ যদি বাংলাদেশে আসে তবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হবে কৃষি খাত। এ ক্ষেত্রে আমাদের যে ধরনের পরিস্থিতিই আসুক না কেন তা মোকাবিলা করে কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। সেজন্য সেটি বিবেচনায় নিয়ে সার্বিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনায় সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মার্চ মাসে দেশে করোনা আক্রমণের শুরুর দিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকেরা মাঠে কাজ করেন। ফসলের উৎপাদন ও কর্তন অব্যাহত রাখেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর কর্মকর্তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকের পাশে ছিল। সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে করোনা, আম্পান ও দীর্ঘমেয়াদি বন্যা মোকাবিলা করে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো বিপর্যয় হয়নি, কোনো খাদ্য সংকট হয়নি। আশা করি আগামী দিনেও খাদ্যের কোনো সংকট হবে না। তারপরও করোনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় আমাদের সব প্রস্তুতি থাকতে হবে যাতে করে আমরা কৃষি উৎপাদনের ধারাকে অব্যাহত রাখতে পারি।’
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২০-২১ অর্থ বছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৬৮টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ২ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৯ শতাংশ।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থার প্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।