সোমবার পিয়াজখালী বাজারের কাছে বেপারীডাঙ্গি গ্রামে এ মানববন্ধনে কয়েক শ নারী-পুরুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, অসংখ্যবার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে তারা এ গ্রামে থিতু হয়েছেন। তাদের গ্রামটি কৃষি প্রধান। এখানে ধান, পাট, রসুন ও পেঁয়াজসহ নানা ফসলের ভালো ফলন হয়। সম্প্রতি এ জমি বিনষ্ট করে ইটভাটা স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল।
মো. সুলতান খাঁ নামে এক বৃদ্ধ কৃষক বলেন, এ ভাটা হলে পদ্মা নদী এগিয়ে আসবে। এতে তাদের ফসলি জমিরই শুধু ক্ষতি হবে না, বরং পরিবেশের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়বে।
রাবেয়া বেগম নামে এক নারী বলেন, ইতোপূর্বে তাদের গ্রামে বালু দস্যুদের কারণে পরিবেশের ওপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়েছিল। তখন গ্রামবাসীর বাধার কারণে প্রশাসন বেকু মেশিন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এখন তারা বালু লুট করতে না পেরে সেখানে নতুন করে ভাটা স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে আকোটেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘কৃষি জমিতে ইটাভাটা হলে এখানের প্রায় ৩ শতাধিক কৃষি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ওই জমিতে নানা ধরনের ফসল হয়। আমরা চাই না কৃষি জমি বিনষ্ট করে ইটভাটা স্থাপন করা হোক।’
তবে ভাটা স্থাপনকারী এখলাস ফকির দাবি করেন, তিনি কোনো কৃষি জমি বিনষ্ট করে ইটভাটা করছেন না। গ্রামবাসীর অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি নদীর মাটির বাইরে কোনো ফসলি জমির মাটি ভাটায় ব্যবহার করবেন না।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘গ্রামবাসীর পক্ষ হতে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’