অন্যদিকে বেশি উৎপাদন হওয়ায় শীতের সবজি বিক্রি করতে না পারায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকরা। সব ধরনের ক্ষতি ও লোকসান কাটিয়ে উঠতে তাই দক্ষিণাঞ্চলের চার জেলায় ছয় লাখ কৃষক বোরো উৎপাদনে কোমর বেঁধে নেমেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ মে. টন
এই মৌসুমে ৪০০ কোটি টাকা মূল্যের বোরো উৎপাদন হবে বলে আশাবাদী কৃষি বিভাগ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি বছরে ২০-২১ মে সুপার সাইক্লোন আম্পানের আঘাতে খুলনার কয়রা, পাইকগাছা, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি ও বাগেরহাটের শরণখোলায় আমনের বড় একটা অংশ ভেসে যায়। মার্চ-মে পর্যন্ত মহামারী করোনায় পরিবহন বন্ধ থাকায় প্রতি মণ বোরো ৯০০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। শীতের সবজির দাম পাচ্ছে না কৃষক। ফলে বিভিন্ন এনজিও থেকে নেয়া ঋণ শোধ হচ্ছে না। সুদের পরিমাণ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: হাওরে পানি আটকে মাছ শিকার, সুনামগঞ্জে বোরো আবাদে শঙ্কা
দক্ষিণের চার জেলা খুলনা, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে এবার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হবে। শুধু সাতক্ষীরায় ৭৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মৌসুমে ১০ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন বোরোর উৎপাদন হবে। উৎপাদিত ধানের মূল্য ৪০০ কেটি টাকা হবে বলে আশাবাদী কৃষি বিভাগ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোরো বীজের তীব্র সংকট, বিপাকে কৃষকরা
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আর রোগ বালাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলে বোরোর বাম্পার ফলন হবে।
নড়াইলের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় জানান, হাইব্রিড বীজ সহায়তা ও প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এখানে ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৬ হাজার মেট্রিক টন বোরো উৎপাদন হবে।
আরও পড়ুন: হাওরে ৯৯ ও সারা দেশে ৩৯ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ
সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক মো. নূরুল ইসলাম জানান, বীজের ঘাটতি নেই। শৈত্যপ্রবাহ বীজ তলায় ক্ষতি করতে পারবে না। সার ও সেচ সংকট থাকবে না। সব মিলিয়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন হবে। জেলায় ৪৭ হাজার কৃষককে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।