সংস্থাটির সর্বশেষ এক চার্টার্ড ফ্লাইটে বেনগাজি হতে মোট ১৪১ বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হয়েছে। ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের বিশেষ অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আইওএম লিবিয়ার কান্ট্রি ডিরেক্টরের সহযোগিতায় একই ফ্লাইটে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারী দুই বাংলাদেশির মৃতদেহও দেশে প্রেরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় মানবপাচার: হাইকোর্টে অভিযুক্ত পারভেজের জামিন
আইওএম’র চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে ফ্লাইটটি পরিচালনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার জন্য বেনগাজির প্রবাসী বাংলাদেশি, বেনিনা বিমানবন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ এবং আইওএম’র প্রতি দূতাবাসের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জনানো হয়েছে।
এছাড়া, যথাসময়ে ফ্লাইটি পরিচালনার প্রয়োজনীয় অনুমতি এবং প্রত্যাবাসনকৃতদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করার জন্য দূতাবাস হতে পররাষ্ট্র এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশির সন্দেহভাজন খুনি ড্রোন হামলায় নিহত
বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লিবিয়া হতে স্বেচ্ছায় দেশে গমনে আগ্রহীদের পর্যায়ক্রমে ফেরত পাঠাতে দূতাবাসের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ লক্ষ্যে দূতাবাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং আইওএম লিবিয়ার সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি নাগরিকরা আইওএম হতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে আসছেন।
এছাড়া, করোনাজনিত পরিস্থিতিতে লিবিয়া হতে দেশে প্রত্যাবাসনকৃত বাংলাদেশিদের সরকারের তত্ত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তাদের সবাইকে দেশে আইওএম’র পুনর্বাসন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।