প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মঙ্গলবারের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে সরকার বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের যথাসম্ভব সহায়তা করবে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে আশ্বাস দিয়েছি যে আমরা তাদের যথাসাধ্য সহায়তা করব। কার কতটা ক্ষতি হয়েছে তা আমরা মূল্যায়ন করব।’
পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সরকারের দেওয়া ঋণের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে ৩১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা গ্রহণের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির আওতায় স্বল্প সুদে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯ টাকার চেক প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
অগ্নিকাণ্ডকে অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এত ব্যবসায়ীর দুর্ভোগ ও কান্না সহ্য করা অসম্ভব।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক মহাসড়কে টোল আরোপ করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ১৯৯৫ ও ২০১৮ সালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর সরকার সেখানে পরিকল্পিত মার্কেট নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়। কিন্তু বেশ কিছু লোক এতে বাধা দিয়ে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে এবং পরে হাইকোর্ট প্রকল্পটি স্থগিত করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সে সময় যদি প্রকল্পটি স্থগিত না থাকত, তাহলে আমরা একটি ভালো মার্কেট তৈরি করতে পারতাম এবং তখন এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতো না।’
তবে প্রধানমন্ত্রী ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের আশপাশে হামলাকারী বেশ কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল মানুষের তীব্র নিন্দা জানান। তাদের আচরণ তাকে ক্ষুব্ধ করেছে বলে জানান তিনি।
আগুন লাগার পরপরই দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে লেগে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তিনি হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কেউ ফায়ার সার্ভিসের সদস্য বা যানবাহন অথবা অন্যান্য সরকারি সম্পত্তিতে হামলা করলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রচেষ্টা জোরদার করুন: প্রধানমন্ত্রী