প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, সরকার দেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে, আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার সংসদ ভবন কার্যালয়ে বিদায়ী সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে।
তিনি বলেন, দেশের নির্বাচন তদারকি করতে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসবেন এবং তারা স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং এর ওপর ও এর বাজেটের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল, যার ভিত্তি তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, এই রাজনৈতিক দলের জন্ম জনগণ থেকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্ম সেনানিবাসে। এই দুই দলের প্রধানরা প্রথমে অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রপতি হন, পরে নিজেদের রাজনৈতিক দল গঠন করেন।
আরও পড়ুন: খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে তাদের কোনো ভিত্তি নেই।
জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল। জনগণের মধ্যেও তাদের কোনো ভিত্তি নেই।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে সরকার গঠন করবে। গত ১৪ বছরে সরকার দেশের ব্যাপক পরিবর্তন করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগ ও তার জোটকে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে ভোট দেয়ায় এটা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে এবং গণতন্ত্রের বিকাশে কাজ করে।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে বসবাসরত ১০ লাখের বেশি মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশের জন্য বোঝা।
আরও পড়ুন: বিরোধীরা আমার ব্যর্থতা খুঁজে পেলে সংশোধন করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা