ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের ঘটনায় রাজধানীতে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা বার অ্যাসোসিয়েশন ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মধ্যে বৈঠকে আট দিন পর স্থবিরতা অপসারণ করা হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন যে রবিবার থেকে দুই বিচারপতি ছাড়া বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন তারা। তাদের তিনটি দাবি মেনে নেয়ায় রবিবার থেকে আইনজীবীরা তাদের কর্মকাণ্ডে যোগ দেবেন
তিনি আরও বলেন, জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ না হলে তারা আদালত বয়কট করবেন। এ ছাড়া মোহাম্মদ ফারুকের আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামকে অপসারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের বিচারক নিয়োগে নতুন আইন আসছে: আইনমন্ত্রী
মফিজুর রহমান জানান যে আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করে শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেবেন তারা।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে আইনমন্ত্রীর বাসায় অচলাবস্থা নিয়ে দুই ঘণ্টা বৈঠক হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির ও সাধারণ সম্পাদক আবদুন নুর দুলাল।
গত বছরের ১ ডিসেম্বর আদালতে মামলা করতে আসা আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বিচারক ফারুক। ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে গত ২৬ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারুকের আদালত বয়কটের ঘোষণা দেন আইনজীবীরা।
অন্যদিকে, চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অসদাচরণের প্রতিবাদে আদালতের কর্মকর্তারা কর্মবিরতি পালন করেন। এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পরদিন সব আদালত বর্জন করে লাগাতার কর্মসূচি পালন করেন আইনজীবীরা।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারকদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ জন আইনজীবীকে দুবার তলব করেন হাইকোর্ট।