সদ্য আত্মপ্রকাশ করা অর্থনৈতিক জোট ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আইপিইএফ) নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে মতবিনিময় অব্যাহত রাখতে উন্মুখ বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার গণমাধ্যমকে বলেছেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক অংশীদার।
শিলার বলেন, মার্চে অংশীদারিত্ব সংলাপের পর থেকে ঢাকা ও ওয়াশিংটনে নিয়মিত বিরতিতে আইপিইএফ সম্পর্কে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
আরও পড়ুন: সুইস বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান ঢাকার
তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডিজিটাল অর্থনীতি, ক্লিন এনার্জি ট্রানজিশন এবং সাপ্লাই চেইন স্থিতিস্থাপকতা সহ ২১ শতকের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চায়।
অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার ১২টি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশের সঙ্গে একটি নতুন অর্থনৈতিক চুক্তি করেছেন।
বাইডেনের ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি। যা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মার্কিন উপস্থিতির জানান দেয়ার জন্য এবং মহামারি ও রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের কারণে সৃষ্ট বাণিজ্যিক অস্থিতিশীলতা মোকাবিলায় তার প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্পাদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ‘কৌশল’ ভারসাম্যপূর্ণ: এসসিএমপি
ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগদানকারী দেশগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। বাইডেন সরকারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এ জোটের হাতে থাকছে বিশ্বের ৪০ শতাংশ জিডিপি।
দেশগুলো একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, করোনাভাইরাস মহামারি এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কারণে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতার পরে এই চুক্তিটি সম্মিলিতভাবে তাদের ‘অর্থনীতিকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে’ সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা