বাংলাদেশ আগামী সপ্তাহে সিনোফার্মের ৩৪ লাখ ডোজ টিকা এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ফাইজারের ৬০ লাখ টিকার চালান পেতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এছাড়া বাংলাদেশ কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ১০ লাখ ডোজ টিকা শিগগিরই পাবে।
আরও পড়ুনঃ জাপানের দেয়া অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার তৃতীয় চালান ঢাকায়
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ভালোভাবেই গুছিয়ে নিয়েছি। আমরা মনে করি, আমরা সঠিক পথেই আছি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণায়ের কথা উল্লেখ করে আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশে এক কোটি ২৩ লাখ ডোজ টিকা মজুদ আছে। এর মধ্য থেকে কিছু টিকা (অ্যাস্ট্রাজেনেকা) দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে রাখা হবে।
যৌথভাবে টিকা উৎপাদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যৌথভাবে সিনোফার্ম টিকা উৎপাদন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) যে কোনো মুহূর্তে স্বাক্ষরিত হবে।
আরও পড়ুনঃ সিনোফার্মেরর সাথে যৌথ টিকা উৎপাদনে সমঝোতা স্মারক প্রস্তুত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী যোগ করেন, আইন মন্ত্রণালয় যাচাই -বাছাইয়ের পর ইতোমধ্যেই তা অনুমোদন করেছে এবং এটি যে কোনো মুহূর্তে স্বাক্ষরিত হবে। সবকিছুই চূড়ান্ত।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশে যৌথভাবে টিকার উৎপাদন অপরিহার্য। আমি যৌথ উৎপাদনের শুরু চাই।
এর আগে তিনি বলেছিলেন, সমঝোতা স্মারক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে রয়েছে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচিত এটি দ্রুত নিষ্পত্তি করা।
আরও পড়ুনঃ সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকা দেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সরকার, সিনোফার্ম এবং একটি স্থানীয় কোম্পানি (ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড) চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে।