শহরের আল্লামা ইকবাল রোডের আজমেরী ওসমানের বাসা ও অফিস দেওয়ান মঞ্জিল থেকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- জেলা ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক মো. শাহাদাৎ হোসেন রুপ ও গলাচিপার ডিএন রোডের মোখলেসুর রহমান (৩৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা (ডিআইও-২) সাজ্জাদ রোমন বলেন, আমলাপাড়ার বাসিন্দা বাচ্চুর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর ঘটনায় আজমেরী ওসমানের দুই সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। এই মামলায় আজমেরী ওসমান পলাতক রয়েছেন।
এ ব্যাপারে আত্মপক্ষ সমর্থন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের নামে একটি পেজে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেছেন আজমেরী ওসমান।শুক্রবার ভোরে পোস্ট করা ওই স্ট্যাটাসে তার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রীমহল অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে দাবি করেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় একটি নম্বর থেকে কল করে আজমেরী ওসমানের পরিচয় দিয়ে আমলাপাড়ার বাসিন্দা বাচ্চু মিয়ার কাছে ৬৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা আনার জন্য মোখলেস কালিমন্দিরের সামনে বাচ্চু মিয়ার সাথে দেখা করে। পরে আজমেরী ওসমান তাকে ডাকছে বলে মোখলেসহ অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জন জোর করে টেনে-হিচড়ে কালিরবাজারের মাংস পট্টি আফসু মহাজনের হোটেলের সামনে নিয়ে মারধর করে। মারধরের পর চাঁদার টাকা না দিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টায় শহরের আল্লামা ইকবাল রোডের আজমেরী ওসমানের বাসা ও অফিস দেওয়ান মঞ্জিলে রেইড দেয় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি), ফতুল্লা মডেল থানা ও সদর মডেল থানার একাধিক টিম। তবে সেখানে আজমেরী ওসমানকে পাওয়া না গেলেও এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।