ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক মাদরাসাছাত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচণা মামলায় তাহাবুর রহমান নামের এক যুবককে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ দণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
দণ্ডিত তাহাবুর রহমান কালীগঞ্জ উপজেলার কামারাইল গ্রামের জবেদ আলী মণ্ডলের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় চাচাকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ভাতিজার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা যায়, কামারাইল গ্রামের মাদরাসাছাত্রী শিরিনা খাতুনকে উত্যক্ত করত একই গ্রামের তাহাবুর রহমান। ২০০৭ সালের ১ আগস্ট বাড়ির পাশের নদীতে গোসল করতে যাওয়ার সময় তাকে লাঞ্ছিত করে তাহাবুর রহমান। এই অপমান সইতে না পেরে পরেরদিন গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে শিরিনা খাতুন।
এ ঘটনায় ১৯ সেপ্টেম্বর তাহাবুর রহমানকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে শিরিনা বাবা আখের আলী।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত মঙ্গলবার এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত তাহাবুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।