আফগানিস্তানের দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি বাংলাদেশ সাবধানতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছে।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা আফগানিস্তানের সকল স্টেকহোল্ডারসহ বিদেশী নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য আফগানিস্তানের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ চালিয়ে যেতে পেরে খুশি হবে।
বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে ভাগ করে নেয়। এটি সার্কের সহকর্মী সদস্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় আফগানিস্তানের সরকার ও জনগণের সহায়তার কথা স্মরণ করে।
বিবৃতিতে বলা হয়ে, ‘প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নীতি বাস্তবায়নের জন্য আফগানিস্তানের সাথে কাজ করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা টেকসই উন্নয়নে এই অঞ্চলকে একসঙ্গে সমৃদ্ধ করবে।’
বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে, একটি গণতান্ত্রিক এবং বহুত্ববাদী আফগানিস্তান তার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত দেশটির স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের একমাত্র নিশ্চয়তা।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিজেকে সম্ভাব্য উন্নয়ন সহযোগী এবং আফগানিস্তানের বন্ধু মনে করে।
মন্ত্রণালয় বলছে, ‘আমরা মৌলিক শিক্ষা, কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটেশন, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং আইসিটি সক্ষম পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আফগানিস্তানের সাথে আমাদের সেরা অনুশীলন ভাগ করে নেয়ার জন্য প্রস্তুত।’
এতে বলা হয়, বাংলাদেশি এনজিওগুলো গত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে সফলভাবে কাজ করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে আফগানিস্তানের জনগণের ওপর তাদের দেশ পুনর্গঠন করা এবং ভবিষ্যতের গতিপথ নিজেরাই নির্ধারণ করবে।’
আরও পড়ুন: দেশ ছাড়ছে আফগানরা, বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলা