বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা আর আওয়ামী লীগের অধীনে কোন নির্বাচনের ফাঁদে পা দিচ্ছি না। এদেশের মানুষ ভালো করেই জানে যে আওয়ামী লীগের অধীনে যদি কোন নির্বাচন হয় তাহলে সে নির্বাচন কোন দিনই সুষ্ঠু, আবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে না।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউড়িস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিশাল কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণের গনতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে ড্রাইভার্ড করার জন্য সরকার পরিকল্পিতভাবে কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুর নোয়াখালী চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের এজেন্সির মাধ্যমে। আবার এসব ঘটনায় নিরীহ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে হয়রানী করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, আমাদের সামনে অনেক বিপদ। মানুষ এখন সময় অতিবাহিত করছে। এ সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু গণতন্ত্র তারা বিশ্বাস করে না, তারা সুপরিকল্পিতভাবে মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নিচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রের মোড়ক দিয়ে স্বৈরশাসন কায়েম করেছে।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, গণআন্দোলন যারা করতে চান, অভ্যুত্থান যারা করতে চান সংগ্রাম করে, বিপ্লব করে যারা বাংলাদেশকে মুক্ত করতে চান তাদেরকে অবশ্যই সতিকার অর্থে সাচ্চা সৈনিক তৈরি হতে হবে। তাদের মধ্যে আর্দশ থাকতে হবে। তাদের মধ্যে সংগঠনের প্রতি ভালোবাসা এবং সেনাপতির নির্দেশ মানার বোধ থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স কেলেঙ্কারির সঙ্গে আ.লীগের লোকেরা জড়িত: বিএনপি
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপির এই কেন্দ্রিয় নেতা বলেন, এই স্বৈরাচারী বিএনপি'র শুধু ওয়ার্ড কমিটির সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে নয়, ইউনিয়নের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে প্রায় এক লাখ মামলা। ইলিয়াস আলী, নুরুল আলম ৫শ’র অধিক মানুষ গুম হয়ে গেছে। এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আজকে আমার দুর্ভাগ্য আজকে আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা এখনো পর্যন্ত স্বৈরাচারকে হারাতে পারেনি। সে জন্য আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমাদের সকল নেতারা অতি দ্রুত সংগঠনকে সংগঠিত করছেন।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য দেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সচিব সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মাহবুব আলম, এড. মুফিজুল হক ভূইয়া, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাসেম, মন্জুর আলম মন্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের যুগ্ম সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার চোরাগলি খোঁজে: তথ্যমন্ত্রী