দেশে ইলিশ মাছের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে দুই মাসব্যাপী মাছটি ধরা, বিক্রি ও পরিবহনের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা ১ মার্চ থেকে শুরু হবে।
সোমবার এক হ্যান্ডআউটে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা ১ মে থেকে তুলে দেয়া হবে।
এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী জেলার ইলিশ অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
পাঁচটি অভয়াশ্রম হচ্ছে- চাঁদপুর জেলার ষাটনল হতে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার এলাকা; ভোলা জেলার মদনপুর/চর ইলিশা হতে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকা; ভোলা জেলার ভেদুরিয়া হতে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তম পর্যন্ত তেতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা; শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মধ্যে অবস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকা এবং বরিশাল জেলার হিজলা, মেদেন্দীগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর, গজারিয়া ও মেঘনা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা।
আরও পড়ুন: ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় মৎস্যজীবীদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান
এ পাঁচটি অভয়াশ্রমে প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশ, জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে।
আইন অমান্যকারীর জন্য কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট জেলায় এ সময় মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত জেলেদের ইতোমধ্যে ৮০ কেজি হারে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ইলিশ খেতে মধ্যরাতে মাওয়ায় গেলেন পরীমণি