নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, দেশের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ একটি আইন ‘রাতারাতি’ করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ওভারসিজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ওকাব) সদস্যদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, সংবিধানে প্রয়োজনে আইন করার বিধান আছে এবং আমরা তা করতেও চাই। তবে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন হওয়ায় রাতারাতি করা যাবে না।
আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়ার বিশদ বিবরণ দিয়ে আনিসুল হক বলেন, সংসদে উত্থাপনের আগে এটির খসড়া প্রণয়ন, মন্ত্রিসভার অনুমোদন এবং তারপর জনমত সংগ্রহের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এটি স্থাপন করতে হবে। আইনের গুরুত্ব বিবেচনা করে আমাদের এই প্রক্রিয়াগুলো মানতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতি নিয়োগের সর্বময় ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতির অনুমোদিত একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বর্তমানে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার সদস্যের জন্য তাদের পছন্দের ব্যাপারে মতামত জানান। সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেন।
মন্ত্রী বলেন,যদিও এই প্রক্রিয়াটি কোনো আইন নয়, তবে এটিতে আইনের মতোই ক্ষমতা রয়েছে। কারণ দেশের সব রাজনৈতিক দল এর আগে এ বিষয়ে একমত ছিল এবং দুবার এটি কার্যকর হয়েছে। এর আগে সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে দুটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের ফলাফল দেখার জন্য সরকারও অপেক্ষা করছে।
বাংলাদেশে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে এবং তাদের মধ্যে নয়টি বর্তমান সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে বিতর্ক করার অবকাশ নেই: আইনমন্ত্রী
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কমিশনকে অবিচল থাকতে হবে: আইনমন্ত্রী