স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ মসজিদে জামায়াতে আদায় করার নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নির্দেশ জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে পবিত্র মাহে রমজান এবং আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জুনের আগে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না: বিশেষজ্ঞ মতামত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ভয়াবহ মহামারি আকার ধারণ করার ক্ষেত্রে যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ইতিমধ্যে মসজিদে নামাজ আদায়ে কতিপয় নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সারাদেশে লকডাউন ও জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশাবলিসহ বিশেষ সতর্কতামূলক বিষয়াদি অনুসরণপূর্বক পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামায়াতে আদায়ের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকার গণপরিবহন চালুর চিন্তা ভাবনা করছে: কাদের
ইসলামী শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামায়াত আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বসহ দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে মুসল্লীদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামায়াত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামায়াত অনুষ্ঠিত করার কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ঈদের নামাজের জামায়াতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে পারবেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদে ওযুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনার ১ম ডোজের টিকাদান সোমবার থেকে স্থগিত
মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে। প্রত্যেকে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। ঈদের নামাজের জামায়াতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করতে হবে। শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোন অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই প্রতিপালন করতে হবে।
এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদে জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আল-আমিন এর দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামগণকে অনুরোধ করা হয়েছে।
খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জারিকৃত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে জারিকৃত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।