প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সবাইকে উঁচু ভবন নির্মাণের সময় অগ্নি ও অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

গণভবন থেকে একটি ভার্চুয়াল প্রোগ্রামে ভাষণ দেয়ার সময় তিনি বলেন,যে কোনও উঁচু ভবন নির্মাণের সময়, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে আমরা ধীরে ধীরে উদ্ধার সরঞ্জামও সংগ্রহ করছি।’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫০ বছর এবং আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সময় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন এবং কক্সবাজারের মুক্তিযুদ্ধ মাঠ থেকে দর্শকরা যুক্ত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার আগুন ও অন্যান্য দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে কাজ করছে, এটি ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষকেও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের নিজেদেরই কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। যখনই আপনি ঘরবাড়ি, অফিস বা ব্যবসায়িক স্থাপনা নির্মাণ করবেন, তখন আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আগুনের ঘটনা, ঘূর্ণিঝড় বা বন্যা হতে পারে। সুতরাং, আপনাকে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে হবে এবং আগাম চুক্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরও পড়ুন: ভবন নির্মাতা ও ব্যবহারকারীদের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের পরপরই সিপিপি হাতে নিয়েছিলেন। কারণ তিনি ১৯৭০ সালের বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের সময় জনদুর্ভোগ দেখেছিলেন।

তিনি ১৯৯১ সালের শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিলম্বিত এবং দুর্বল প্রতিক্রিয়ার জন্য তৎকালীন বিএনপি সরকারের সমালোচনা করেন।

হাসিনা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং জনদুর্ভোগ ও দুর্দশার সাক্ষী হন।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, আ’লীগ সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপের কারণে ১৯৯৮ সালের আড়াই মাস স্থায়ী দীর্ঘ বন্যায় কোন মানুষ প্রাণ হারায়নি।

আরও পড়ুন: নিজের বাইকে আগুন দিলেন ক্ষুব্ধ রাইড শেয়ারিং চালক

বনানীর ছয়তলা ভবনে আগুন