উচ্চ আদালতে বিচারপতির নিয়োগ সংক্রান্ত আইন করা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। বুধবার তাঁর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, জেনে খুশি হয়েছি যে, উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে সরকার কাজ শুরু করেছে।
বিদায় সংবর্ধনায় প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, দেশে বিদ্যমান মামলার পরিসংখ্যান থেকে এটা প্রতীয়মান হয় যে, বিচারের অভিগম্যতা অনেক বেড়েছে। একথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই যে, এখনও বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ জনগণের প্রবল আস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন: আগে জীবন পরে জীবিকা: প্রধান বিচারপতি
তিনি বলেন, একথা অনস্বীকার্য যে, মামলার সংখ্যা বিবেচনায় আমাদের বিচারকের সংখ্যা অপ্রতুল। মামলার জট নিরসনে দেশের অধস্তন আদালত থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত বিচারকের সংখ্যা পর্যায়ক্রমে দ্বিগুণ করা প্রয়োজন।
বিচার বিভাগের সংকটের দিক তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকার নিরন্তর কাজ করলেও অনেক জেলায় এখনো জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি বিল্ডিং নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়নি। ফলে একই এজলাসে একাধিক বিচারককে কাজ করতে হয়। এতে সময়ের অপচয় হয়। সংগত কারণে বিচারকদের কাজের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন তরান্বিত করা বাঞ্ছনীয়। মামলার জট কমাতে করণীয় তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ফিজিকেল এবং ভার্চুয়াল কোর্ট যুগোপতভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করলে বিচার নিষ্পত্তি আরও দ্রুততর হবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
উল্লেখ্য, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে না: প্রধান বিচারপতি