‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট শুরু করেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করছে উপাচার্যের সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ।’
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের প্রতিটি ফটকে অবস্থান নিয়ে প্রবেশের পথ বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের চূড়ান্ত পরীক্ষা ধর্মঘটের আওতামুক্ত রয়েছে। সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নূরুল আলম ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) রহিমা কানিজ নতুন প্রশাসনিক ভবনে নিজেদের কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীদের অবরোধের মুখে ফিরে যান।
আন্দোলনের মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘আমরা আজই মহামান্য আচার্যকে ফ্যাক্সের মাধ্যমে বর্তমান উপাচার্যকে অপসারণের যৌক্তিতা জানাবো। উপাচার্যের দুর্নীতির বিষয়ে তাকে অবহিত করবো। আর দুপুরের মধ্যে আমরা বৈঠক করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’