করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় এক মাস বন্ধ থাকার পর কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে মঙ্গলবার দেশের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হয়েছে।
এদিকে, আগামী ১ মার্চ থেকে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষার্থীদের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। যে সকল শিক্ষার্থী করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তারা সরাসারি শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন আর যারা শুধু প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের শ্রেণি কার্যক্রম হবে অনলাইনে।
আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ৫৭ হাজার ২২২ জন শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ এবং ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৪৪৮ জন শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে। আশা করছি ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শেষ হবে।
মন্ত্রী বলেন, যাদের টিকা নেয়া শেষ না হবে তারা পূর্ণডোজ না নেয়া পর্যন্ত অনলাইনে বা টেলিভিশনে ক্লাস করবে। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তারা তাদের নিজস্ব সময়সূচি ঠিক করে নেবেন।
দীপু মনি জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে করোনা টিকার জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি সরকার এক ঘোষণায় করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বৃদ্ধির কারণে থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেয়। পরে ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বিধিনিষেধ ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
২২ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল ও কলেজের জন্য অনলাইন ক্লাস পুনরায় চালু সহ ১১-দফা নির্দেশনা জারি করে।
এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের জোনাল অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, স্থানীয়দের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসরণ করে করোনার বিরুদ্ধে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কওমি মাদ্রাসাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন: শিক্ষামন্ত্রী