বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়। নথি ২৪ জানুয়ারির মধ্যে চেয়ে ওই দিন পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। জামিন আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। এনআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
আরও পড়ুন: এমপি পাপুলের স্ত্রী ও মেয়েকে ১০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
পাপুলকে নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য ভুলভাবে প্রকাশিত হয়েছে: মন্ত্রণালয়
শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী, কন্যা ও শ্যালিকার বিরুদ্ধে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১৪৮ কোটি টাকার অর্থ পাচারের অভিযোগে গত বছরের ১১ নভেম্বর মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২৬ নভেম্বর তারা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। এর মধ্যে পাপুলের স্ত্রী ও মেয়ের আবেদনের শুনানি নিয়ে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়। তবে তাদের আবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নথি জমা দেয়া হয়। যেখানে বলা হয়, এনআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংকের একটি শাখার হিসাবে অর্থপাচার সংঘটিত হতে পারে মর্মে প্রতীয়মান হয়নি।
বিষয়টি আদালতের নজরে আসায় ওই নথিতে স্বাক্ষরকারী বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক মো. আরেফিন আহসান মিঞাকে তলব করে সুয়োমোটো রুল জারি করা হয়। তিনি হাজির হয়ে বলেন, এ নথি ‘টেম্পার্ড’ করা হয়েছে। তবে পাপুলের স্ত্রী ও কন্যার আইনজীবীর দাবি এ নথি এনআরবি ব্যাংক তাদের সরবরাহ করেছে। এরপর আদালত এনআরবি ব্যাংকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চায়।
আরও পড়ুন: কুয়েতের নাগরিক হলে আসন হারাবেন এমপি পাপুল: প্রধানমন্ত্রী
এমপি পাপুল কুয়েতের নাগরিক নন, নিশ্চিত করল দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মঙ্গলবার এনআরবি ব্যাংক জানায়, তারা এ ধরনের নথি দেননি। এরপর আদালত এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব নথি তলব করে।
গত বছরের ৬ জুন কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) শহিদ ইসলাম পাপুলকে সেখানে গ্রেপ্তার করে। কুয়েত সিআইডি তার বিরুদ্ধে ওই দেশে মানবপাচার ও অর্থপাচারের মামলা করেছে। এখন পাপুল কুয়েতে কারাবন্দী আছেন।