তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম প্রতি কেজি প্রতি ছয় দশমিক ৩৩ টাকা কমে ১১৮ দশমিক ৫৪ টাকা হয়েছে, যা মার্চের আগের মাসে ১২৪ দশমিক ৮৫ টাকা ছিল।
বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি সর্বশেষ এই দাম ঘোষণা করেছে।
নতুন মূল্য অনুসারে, ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৭৬ টাকা কমেছে কারণ একজন খুচরা গ্রাহক এটি আগের দাম এক হাজার ৪৯৮ টাকা (ভ্যাট সহ) এর পরিবর্তে এক হাজার ৪২২ টাকায় পাবেন।
বিইআরসি’র প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অন্যান্য আকারের সিলিন্ডারের জন্য এলপিজির দাম – সাড়ে পাঁচ কেজি থেকে ৪৫ কেজি যুক্তিসঙ্গতভাবে কমবে৷
বিইআরসির একজন কর্মকর্তা বলেন, সৌদি সিপির (চুক্তি মূল্য) দাম কমে যাওয়ায় দামের এমন পতন ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, গত মাসে সৌদি সিপি অনুসারে, এলপিজির দাম প্রতি মেট্রিক টন ছিল ৭৯০ মার্কিন ডলার। এবং বর্তমান মাসের সিপি প্রতি মেট্রিক টন প্রতি ৫৭ মার্কিন ডলার কমিয়ে ৭৩৩ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করে।
বিইআরসি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘অটো গ্যাস’ (মোটর গাড়ির জন্য ব্যবহৃত এলপিজি) এর দামও প্রতি লিটারে (ভ্যাট সহ) প্রতি লিটারে ৬৯ দশমিক ৭১ টাকা থেকে কমে ৬৬ দশমিক ২২ টাকা হয়েছে, যা প্রতি লিটার প্রতি তিনি দশমিক ৪৯ টাকা কমেছে।
আজ (২ মার্চ, ২০২৩) সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় নির্ধারিত মূল্যের বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানি দ্বারা বিপণন করা এলপিজির দাম একই থাকবে কারণ এটি স্থানীয়ভাবে পাঁচ শতাংশের কম বাজার শেয়ার নিয়ে উৎপাদিত হয়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম সর্বোচ্চ এক হাজার ৪৯৮ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার) ছিল।
সাধারণত, বিইআরসি চেয়ারম্যান ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে প্রতি মাসের শুরুতে এলপিজির দাম ঘোষণা করেন।
এবার, বিইআরসি চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের মধ্যে চারজন সদস্য সরকারের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসর নেয়ায় কোনো প্রেস ব্রিফিং হয়নি।
বিইআরসির একজন কর্মকর্তা বলেন, নতুন চেয়ারম্যান এখনও নিয়োগ দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: ১৪৯৮ টাকার ১২ কেজি এলপিজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০-১৮০০ টাকায়: ডিএসসিআরপি