পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার সমস্যা মোকাবিলা করা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ এবং এ ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা খর্ব করা যাবে না।
শনিবার প্রতিমন্ত্রী ক্যাম্পে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন।
রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক সহযোগিতা: অগ্রাধিকারমূলক সমস্যা এবং উদ্বেগ’- শীর্ষক সিনিয়র পর্যায়ের সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের জন্য দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় প্রচেষ্টার সমন্বয় করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের অব্যাহত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রোহিঙ্গা ইস্যুকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করেছে।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স আয়োজিত সংলাপটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর শাহাব এনাম খান।
সেক্রেটারি, মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট (এমএইউ) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হুসাইন এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুগুলো সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি যোগ দেয়ার বিষয় না। এটি কিছু নীতির ওপর নির্ভর করে এবং এ বিষেয়ে কোনও ভুল ধারণা থাকলে তা দূর করা দরকার।