দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।
এফএফডব্লিউসির এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী পূর্ব কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলা এবং ত্রিপুরা প্রদেশের অভ্যন্তরীণ অববাহিকায় তেমন বেশি বৃষ্টিপাত হয়নি এবং উজানের নদ-নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করেছে।
ফলে ফেনী ও কুমিল্লা জেলার নিম্নাঞ্চলে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি দেখা যাচ্ছে।
হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেছে।
আরও পড়ুন: ত্রাণ নয় টেকসই বেড়িবাঁধ চান খুলনার ১৪ গ্রামের মানুষ
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই নদীর পানি কমতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজান অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় কুমিল্লা জেলার গোমতী নদীর পানি কমতে পারে এবং আশপাশের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় ফেনী জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কোথাও কোথাও স্থিতিশীল থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিসারদের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানাঞ্চলে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় চট্টগ্রাম জেলার সাঙ্গু, মাতামুহুরী, কর্ণফুলী, হালদাসহ অন্যান্য প্রধান নদ-নদীর পানি পর্যায়ক্রমে বাড়তে পারে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং সুরমা-কুশিয়ারা নদ-নদীর পানির স্তর নামছে, অন্যদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির স্তর অপরিবর্তিত রয়েছে এবং উত্তরাঞ্চলের তিস্তা-ধরলা-দুধকুমার নদীর পরিস্থিতিও স্বাভাবিক, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: সবাইকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির