করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সোমবার থেকেই মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, ‘সরকার আগামীকাল থেকে সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে। মাঠ পর্যায়ে তা বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে আমাদের ওপর কিছু দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। সেসব দায়িত্ব পালনে আমরা আগামীকাল থেকে মাঠে নামব।’
রবিবার সন্ধ্যায় ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত ‘শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ’ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে করণীয় সংক্রান্ত এক জরুরি সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন:সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে: মেয়র তাপস
করপোরশেনের অত্যাবশ্যকীয় কাজগুলো চলমান থাকবে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘যেহেতু সিটি করপোরেশনের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজই অত্যাবশ্যকীয়, সুতরাং, আমাদের কাজ চলমান রাখতে হবে।’
বৈঠকে ডিএসসিসি'র কাউন্সিলররা অনলাইন প্লাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে নিজ নিজ করণীয় সম্পর্কে অবগত হন।
এ সময় তাপস বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, আমাদের অনেক কাউন্সিলর এরই মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমাদের অনেক কর্মকর্তা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সুতরাং, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, দূরত্ব বজায় রেখে আপনারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন।’
করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে মাঠ পর্যায়ে সরকারের এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমি ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করছি, আমরা সবাই মিলে ধৈর্য সহকারে কষ্টের এই সময়টা অতিক্রম করব। এতেই সকলের মঙ্গল নিহিত আছে, সকলের জন্য সুফল বয়ে আনবে, ইনশাআল্লাহ।’
বৈঠকে সরকার ঘোষিত শর্ত সাপেক্ষে স্বাভাবিক কার্যাবলি- চলাচল নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়নে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার খোলা রাখা, শপিং মল বন্ধ রাখার পাশাপাশি বর্জ্য অপসারণ ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও আগামীকাল থেকে ডিএসসিসি'র আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারাসহ ডিএসসিসি'র ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলো মাঠে থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: রাত ৮টার মধ্যে ডিএসসিসির আওতাধীন দোকান বন্ধে তাপসের আহ্বান
বৈঠকে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিনসহ করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা, শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।